কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়


কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়

আপনি কি অনলাইন থেকে  ফ্রি  টাকা, ইনকাম করার উপায়  সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনাদের মনের মধ্যে একটা সবারই প্রশ্ন রয়েছে আসলেই কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়, হ্যাঁ সত্যিই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এবং বাংলাদেশেই হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। অনেকেই অনলাইন থেকে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করে।

  





বর্তমানে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন, কিংবা ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের মাধ্যমেই আপনারা অনলাইন থেকে মূলত ইনকামটা করতে পারবেন । আপনাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে অনলাইন থেকে  টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন। কিন্তু আপনি যদি সঠিক নিয়ম গুলো মেনে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে অনলাইন থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

     পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়



অনলাইন থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

অনেকেই অনলাইন থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো জানতে চেয়ে থাকেন। আপনারা ভাবেন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন । কিন্তু এখন এমন সময় চলে এসেছে যে সাধারণ মানুষ চাইলেও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে তবে এটার জন্য তার মনের ইচ্ছা শক্তি মনোযোগ এবং মোবাইল বা ল্যাপটপ চালানো আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা জানলেই। অনলাইন থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে।


যেমন ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, এফিলেট মার্কেটিং, কনটেন্ট, রাইটিং, অনলাইন টিউশনি, ই-কমার্স অথবা প্রোডাক্ট রিসিভ করে ইনকাম। আবার অনেকেই মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ইনকাম করে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সবচেয়ে সহজ উপায় কোনটা ? আপনি যদি একেবারে নতুন হন, তাহলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং বা ইউটিউব দিয়ে শুরু করাই ভালো হবে। ফেসবুক পেজ খুলে মজার মজার ভিডিও ছোট গল্প, শিক্ষানীয় অথবা মোটিভেশনাল ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করতে পারেন। পেজ ভিউ আর ফলোয়ার্স পারলে ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে বা সুযোগ পাবেন আপনি।


এবার ফেসবুক পেজ থেকে যদি আপনার মনিটাইজেশন চালু হয়ে যায় ,নিয়মিত সুন্দর সুন্দর এবং মান সম্মান তো ভিডিও পোস্ট করবেন তাহলে, ফেসবুক থেকে আপনার ভালো পরিমান। ইনকাম আসবে। আবার যদি আপনি লেখালেখি পছন্দ করেন, তাহলে ব্লক বা ওয়েবসাইট বানিয়ে লিখে ইনকাম করতে পারেন। তাহলে গুগল এডসেন্স, স্পনসর পোস্ট বা বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ করে। সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আবার অনেকেই মার্কেটপ্লেস কাজ করে ইনকাম করছে। যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্, ফ্রিল্যান্সা্‌র, ইত্যাদি। আপনি যদি দক্ষ ও অভিজ্ঞতার সহকারে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে আপনি ফাইবার আপনার ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদিতে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


এ সমস্ত মার্কেট মার্কেট প্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলে রাখলে কাজ পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজ পাওয়া যায় যেমন ছবি এডিট করা, আর্ট তৈরি কর্‌, ডিজাইন করে দেওয়া, আর্টিকেল লেখা অথবা ফেসবুক পেজ ম্যানেজমেন্ট এইসব কাজ করে ইনকাম করা যায়। সবচেয়ে বলা যায়, একবার শুরু করতে পারলে ধীরে ধীরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা আপনার জন্য সহজ ও লাভজনক। তবে একটা কথা মাথায় রাখবে অনলাইনে সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে, অনলাইনে যারা বেশি পরিশ্রম করে বা সময় দেয় তারাই মূলত দিনশেষে ভালো একটা এমাউন্টের ইনকাম করতে পারে।

বাসায় বসে মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায়

আগে আমাদের ইনকাম করার জন্য ঘরের বাহিরে বের হতে হতো, বের হয়ে চাকরি করতে হত, এবং কোন না কোন ব্যবসা করতে হতো। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে কেননা এখন ঘরে বসেই আয় করা যায়। এখন শুধুমাত্র একটা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই, ঘরে বসেই কাজ করে ইনকাম করা যায়। অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মোবাইল দিয়ে কি সত্যি টাকা ইনকাম করা যায়? তাহলে প্রথমেই বলা যায় ফেসবুক পেজ বা youtube চ্যানেলের কথা। যদি আপনি রান্না, গল্প, ও মজার মজার ভিডিও  টিপস শেয়ার করতে পারেন


                            ছবি

তাহলে, মোবাইল দিয়ে এসব ভিডিও বানিয়ে ঘরে বসেই ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পেজ এবং চ্যানেল ধীরে ধীরে বড় হবে, আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং ইনকাম ও বাড়তে থাকবে। এরপরে, আপনি চাইলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া বা টিউশনে পড়াতে পারেন। তাহলে ক্লাসের বাচ্চাদের সেই বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পরিয়ে ইনকাম করতে পারবে। এরপরে, ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট খুলে রেখে সেখানে ছোট ছোট কাজ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন যেমন ডাটা এন্ট্রি কন্টেন রাইটিং ডিজাইন ইত্যাদি।


এরপরে অ্যাপ রিভিউ বা রেফারেল করে ইনকাম। বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অনেক রেফারেল করলে টাকা দিয়ে থাকে যেমন-, বিকাশ, নগদ, টোনাটুনি ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু অ্যাপস মাঝে মাঝে champion রেফার বোনাস দিয়ে থাকে। এছাড়াও অনলাইনে প্রোডাক্ট রিভিউ, বা ড্রপ শিপিং, করেও ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রোডাক্ট ছবি তুলে, ফেল করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন-দারাজ অথবা ফেসবুক মার্কেটপ্লেস। সবশেষে বলা যায় এই সবগুলোই আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য,এবং নিয়মিত চেষ্টা করলেই সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং না জেনেও কিভাবে ইনকাম করা যাবে


অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং না জানলে হয়তো অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব না। আসলে সত্যি কথা বলতে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং না জেনেও অনলাইন থেকে অনেক রকম উপায় ইনকাম করতে পারবেন । শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য ও মনোযোগ থাকলেই আপনি শুরু করতে পারবেন। যদি আপনি ফেসবুক চালাতে পারেন। তাহলে একটা পেজ খুলে ছোট ছোট ভিডিও ও গল্প বা তথ্যভিত্তিক ভিডিও তৈরি করে সেখানে আপলোড করতে পারেন। নিয়মিত পোস্ট করলে সময়ের সাথে সাথে পেজ বড় হবে এবং ফেসবুক আপনাকে ইনকাম করার।


আরেকটি উপায় হচ্ছে ইউটিউবে ভিডিও বানানো জন্য প্রফেশনাল হতে হবে। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ট্রাভেল ভিডিও ও মজার মজার ভিডিও শিক্ষানীয় ভিডিও অথবা গল্পের ভিডিও অথবা সিনেমা বা নাটকের ছোট্ট ছোট্ট করে ক্লিপ আকারে তৈরি করে ইউটিউবে যদি আপনি আপলোড করেন, কিছুদিন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর ভিউ বাড়বে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে এবং আপনি ইনকাম করতে পারবেন।, এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে রেফারেল অনলাইন প্রোডাক্ট সেল কিংবা কনটেন্ট লিখে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জানেন না বলে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। ছোট ছোট কাজ থেকে শুরু করুন ধীরে ধীরে সফলতা পাবেন।


 ড্রপ শিপিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করুন

ড্রপ শিপিং হল এমন একটি পদ্ধতি বা টাকা ইনকাম করার জন্য একটি খুবই  সহজে একটি মাধ্যম। এখানে আপনি বিনা টাকায় ইনকাম করতে পারবেন, তবে এটির জন্য আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা ডেস্কটপ ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন আসলে ড্রপ শিপিং টা কি? হলো এমন একটি অনলাইন ব্যবসা যেখানে বিনা টাকায় ব্যবসা করা সম্ভব।


আরো যদি ভালোভাবে বুঝায় এই ব্যবসাতে কোন পণ্য টাকা দিয়ে কিনে রাখার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি বিভিন্ন সাপ্লায়ার দের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে শেয়ার দিয়ে রাখলে সেল করতে পারলে আপনি ভালো একটা প্রফিট পাবেন। এবং কি এখানে আপনার কোনরকম হাত থাকবে না কাস্টমার যদি অর্ডার করে তাহলে আপনার সাপ্লাইয়ারি অর্ডারটি ডেলিভারি দিবে। এ বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পার।


এখন আপনি ভাবতে পারেন সাপ্লায়ার পাবেন কোথায়? আপনি যদি, দারাজ থেকে অথবা ইন্টারন্যাশনাল সাইট (আলি এক্সপ্রেস ও অ্যামাজন এবং আলিবাবা) এগুলোও কিন্তু এফিলেট দিয়ে থাকে। তো আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে সেখান থেকে আপনি আপনার মন মতন পণ্য নিয়ে আপনি অ্যাফিলেট করতে পারবেন। ক এটি করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন রকম কমিশন নিতে পারবেন সেটা হতে পারে ১০% ১৫% এবং ৫০%। তবে আপনাকে ওখানকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য সেল করতে হবে।


আপনি যদি এই কাজটি করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে এই কাজটি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে বুঝতে হবে এবং কাজটি কিভাবে করে সে বিষয়ে স্টাডি করতে হবে। আমরা আপনাকে বলতে পারি, ড্রপ শিপিং করতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি (Shopify) ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করতে হবে। তারপরে আপনার ইচ্ছামত পণ্য  এফিলেট করতে পারবেন। এখানে আপনাকে মোটামুটি একটা ধারণা দিলাম। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 



গ্রাফিক্স ডিজাইন করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়?


ভাবছেন কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়? আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন জানেন তাহলে বর্তমানে ঘরে বসে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই ইন্টারনেটের জড়ানো পৃথিবীতে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ অনেক সহজ হয়ে পড়ছে। আপনি যদি টুকটাক ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি মাসের উপর মাস ঘরে বসে থেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেটা কেমন ডিজাইন আজ এ পোস্টটি পড়ে জেনে যান এখান থেকে। যেমন ধরেন লোগো বানানো, পোস্টার ডিজাইন করা, ইউটিউব বা ফেসবুকের থাম্নেল ডিজাইন করা ইত্যাদি।


গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক যুবসমাজ ইনকাম একটি সোর্স খুঁজে পেয়েছে। আপনি যদি অ্যাডভান্স লেভেলের  গ্রাফিক্স ডিজাইন পারেন তাহলে আপনি বিদেশ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনের খুবই ঘাটতি রয়েছে।  এই ঘাটটির জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক দামও আছে। তাই আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জানেন তাহলে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ না জেনে থাকেন তাহলে , আপনার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আপনি তিন মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন, ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


এখন আপনারা ভাবতে পারেন হয়তো গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য কি কি লাগে? সর্বপ্রথম গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য লাগে হার্ডওয়ার তারপর লাগে সফটওয়্যার। আপনার বাসায় যদি পিসি বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি সহজেই একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন। এখন আসা যাক সফটওয়্যার 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অথেন্টিক সাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url